হৃদয়ে বড়দিন - ৭দিনের ৩য় দিন


"হৃদয়ে বড়দিন" - ৭ দিনের ভিডিও পরিকল্পনার ৩য় দিন


 

বাংলা বড়দিন ফিল্ম - ৭দিনের ৩য় দিন


বাইবেলের পাঠ সমূহঃ

১ম পাঠ: যোহন ৪:৫-২৭

5তিনি শুখর নামে শমরিয়ার একটা গ্রামে আসলেন। যাকোব তাঁর ছেলে যোষেফকে যে জমি দান করেছিলেন এই গ্রামটা ছিল তারই কাছে। 6সেই জায়গায় যাকোবের কূয়া ছিল। পথে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে যীশু সেই কূয়ার পাশে বসলেন।
তখন বেলা প্রায় দুপুর। 7-8যীশুর শিষ্যেরা খাবার কিনতে গ্রামে গেছেন; এমন সময় শমরিয়ার একজন স্ত্রীলোক জল তুলতে আসল। যীশু তাকে বললেন, “আমাকে একটু জল খেতে দাও।”
9সেই শমরীয় স্ত্রীলোকটি তাঁকে বলল, “আমি তো শমরীয় স্ত্রীলোক। আপনি যিহূদী হয়ে কেমন করে আমার কাছে জল চাইছেন?” স্ত্রীলোকটি এই কথা বলল কারণ যিহূদী এবং শমরীয়দের মধ্যে ধরা-ছোঁয়ার বাছ-বিচার ছিল।
10যীশু সেই স্ত্রীলোকটিকে উত্তর দিলেন, “তুমি যদি জানতে ঈশ্বরের দান কি আর কে তোমার কাছে জল চাইছেন তবে তুমিই তাঁর কাছে জল চাইতে আর তিনি তোমাকে জীবন্ত জল দিতেন।”
11স্ত্রীলোকটি বলল, “কিন্তু আপনার কাছে জল তুলবার কিছুই নেই আর কূয়াটাও গভীর। তবে সেই জীবন্ত জল কোথা থেকে পেলেন? 12আপনি আমাদের পূর্বপুরুষ যাকোবের চেয়ে তো বড় নন। এই কূয়া তিনিই আমাদের দিয়েছেন। তিনি নিজে ও তাঁর ছেলেরা এই কূয়ার জলই খেতেন আর তাঁর পশুপালও খেত।”
13তখন যীশু বললেন, “যে কেউ এই জল খায় তার আবার পিপাসা পাবে। 14কিন্তু আমি যে জল দেব, যে তা খাবে তার আর কখনও পিপাসা পাবে না। সেই জল তার অন্তরের মধ্যে উথলে-ওঠা ফোয়ারার মত হয়ে অনন্ত জীবন দান করবে।”
15এতে স্ত্রীলোকটি যীশুকে বলল, “আমাকে তবে সেই জল দিন যেন আমার পিপাসা না পায় আর জল তুলতে এখানে আসতে না হয়।”
16যীশু তাকে বললেন, “তবে যাও, তোমার স্বামীকে এখানে ডেকে আন।”
17স্ত্রীলোকটি বলল, “কিন্তু আমার স্বামী নেই।”
যীশু তাকে বললেন, “তুমি ঠিকই বলেছ তোমার স্বামী নেই, 18কারণ এর মধ্যেই তোমার পাঁচজন স্বামী হয়ে গেছে, আর এখন যে তোমার সংগে আছে সে তোমার স্বামী নয়। তুমি সত্যি কথাই বলেছ।”
19তখন স্ত্রীলোকটি যীশুকে বলল, “আমি এখন বুঝতে পারলাম আপনি একজন নবী। 20আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই পাহাড়ে উপাসনা করতেন, কিন্তু আপনারা বলে থাকেন যিরূশালেমেই লোকদের উপাসনা করা উচিত।”
21যীশু তাঁকে বললেন, “শোন, আমার কথায় বিশ্বাস কর, এমন সময় আসছে যখন পিতা ঈশ্বরের উপাসনা তোমরা এই পাহাড়েও করবে না, যিরূশালেমেও করবে না। 22তোমরা যা জান না তার উপাসনা করে থাক, কিন্তু আমরা যা জানি তারই উপাসনা করি, কারণ পাপ থেকে উদ্ধার পাবার উপায় যিহূদীদের মধ্য দিয়েই এসেছে। 23কিন্তু এমন সময় আসছে, এমন কি, এখনই সেই সময় এসে গেছে যখন আসল উপাসনাকারীরা আত্মায় ও সত্যে পিতার উপাসনা করবে। পিতাও এই রকম উপাসনাকারীদেরই খোঁজেন। 24ঈশ্বর আত্মা; যারা তাঁর উপাসনা করে, আত্মায় ও সত্যে তাদের সেই উপাসনা করতে হবে।”
25তখন সেই স্ত্রীলোকটি বলল, “আমি জানি, মশীহ, যাঁকে খ্রীষ্ট বলা হয়, তিনি আসছেন। তিনি যখন আসবেন তখন সবই আমাদের জানাবেন।”
26যীশু তাকে বললেন, “আমিই তিনি, যিনি তোমার সংগে কথা বলছেন।”
27এমন সময় যীশুর শিষ্যেরা এসে একজন স্ত্রীলোকের সংগে যীশুকে কথা বলতে দেখে আশ্চর্য হলেন। কিন্তু তবুও তাঁরা কেউই বললেন না, “আপনি কি চাইছেন?” বা “কেন আপনি ওর সংগে কথা বলছেন?”

২য় পাঠ: যোহন ৪:৩৯

39যে স্ত্রীলোকটি এই বলে সাক্ষ্য দিচ্ছিল যে, সে যা করেছে সবই তিনি তাকে বলে দিয়েছেন, তার কথা শুনে সেই গ্রামের অনেক শমরীয় যীশুর উপর বিশ্বাস করল।

৩য় পাঠ: যোহন ৮:১২

12পরে যীশু আবার লোকদের বললেন, “আমিই জগতের আলো। যে আমার পথে চলে সে কখনও অন্ধকারে পা ফেলবে না, বরং জীবনের আলো পাবে।”

৪র্থ পাঠ: লুক ১:৪৬-৫৫

46তখন মরিয়ম বললেন,
“আমার হৃদয় প্রভুর প্রশংসা করছে;
47আমার উদ্ধারকর্তা ঈশ্বরকে নিয়ে
আমার অন্তর আনন্দে ভরে উঠছে,
48কারণ তাঁর এই সামান্যা দাসীর দিকে
তিনি মনোযোগ দিয়েছেন।
এখন থেকে সব লোক আমাকে ধন্যা বলবে,
49কারণ শক্তিমান ঈশ্বর আমার জন্য
কত না মহৎ কাজ করেছেন।
তিনি পবিত্র।
50যারা তাঁকে ভক্তি করে
তাদের প্রতি তিনি করুণা করেন,
বংশের পর বংশ ধরেই করেন।
51তিনি হাত বাড়িয়ে মহাশক্তির কাজ করেছেন;
যাদের মন অহংকারে ভরা
তাদের তিনি চারদিকে দূর করে দিয়েছেন।
52সিংহাসন থেকে রাজাদের তিনি নামিয়ে দিয়েছেন,
কিন্তু সাধারণ লোকদের তুলে ধরেছেন।
53যাদের অভাব আছে,
ভাল ভাল জিনিস দিয়ে
তিনি তাদের অভাব পূরণ করেছেন,
কিন্তু ধনীদের খালি হাতে বিদায় করেছেন।
54-55তিনি আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে
যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন,
সেইমতই তিনি তাঁর দাস
ইস্রায়েলকে সাহায্য করেছেন।
অব্রাহাম ও তাঁর বংশের লোকদের উপরে
চিরকাল করুণা করবার কথা তিনি মনে রেখেছেন।”

৫ম পাঠ: যোহন ১২:১৭-১৯

17লাসারকে কবর থেকে ডেকে জীবিত করে তুলবার সময় যে সব লোক যীশুর কাছে ছিল তারাই লাসারের জীবিত হয়ে উঠবার বিষয় সাক্ষ্য দিতে লাগল। 18সেইজন্যই লোকেরা যীশুকে এগিয়ে আনতে গিয়েছিল, কারণ তারা শুনেছিল যীশুই সেই আশ্চর্য কাজটা করেছেন। 19এ দেখে ফরীশীরা একে অন্যকে বললেন, “আমাদের কোন লাভই হচ্ছে না। দেখ, সারা দুনিয়া তার দলে চলে গেছে।”

শেয়ার করুন

আপনাদের উৎসাহ আমাদের কাছে মূল্যবান

আপনার গল্পগুলি এই ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে সাহায্য করে।