হৃদয়ে বড়দিন - ৭দিনের ২য় দিন


"হৃদয়ে বড়দিন" - ৭ দিনের ভিডিও পরিকল্পনার ২য় দিন


 

বাংলা বড়দিন ফিল্ম - ৭ দিনের ২য় দিন

বাইবেলের পাঠ সমূহঃ

১ম পাঠ: মথি ১:১৮-২৫

18যীশু খ্রীষ্টের জন্ম এইভাবে হয়েছিল। যোষেফের সংগে যীশুর মা মরিয়মের বিয়ের ঠিক হয়েছিল, কিন্তু তাঁরা একসংগে বাস করবার আগেই পবিত্র আত্মার শক্তিতে মরিয়মের গর্ভ হয়েছিলেন। 19মরিয়মের স্বামী যোষেফ সৎ লোক ছিলেন, কিন্তু তিনি লোকের সামনে মরিয়মকে লজ্জায় ফেলতে চাইলেন না; এইজন্য তিনি গোপনে তাঁকে ছেড়ে দেবেন বলে ঠিক করলেন।
20যোষেফ যখন এই সব ভাবছিলেন তখন প্রভুর এক দূত স্বপ্নে দেখা দিয়ে তাঁকে বললেন, “দায়ূদের বংশধর যোষেফ, মরিয়মকে বিয়ে করতে ভয় কোরো না, কারণ তাঁর গর্ভে যিনি জন্মেছে তিনি পবিত্র আত্মার শক্তিতেই জন্মেছেন। তাঁর একটি ছেলে হবে। 21তুমি তাঁর নাম যীশু রাখবে, কারণ তিনি তাঁর লোকদের তাদের পাপ থেকে উদ্ধার করবেন।”
22এই সব হয়েছিল যেন নবীর মধ্য দিয়ে প্রভু এই যে কথা বলেছিলেন তা পূর্ণ হয়: 23“একজন কুমারী মেয়ে গর্ভবতী হবে, আর তাঁর একটি ছেলে হবে; তাঁর নাম রাখা হবে ইম্মানূয়েল।” এই নামের মানে হল, আমাদের সংগে ঈশ্বর।
24প্রভুর দূত যোষেফকে যেমন আদেশ দিয়েছিলেন, ঘুম থেকে উঠে তিনি তেমনই করলেন। 25তিনি মরিয়মকে বিয়ে করলেন, কিন্তু ছেলের জন্ম না হওয়া পর্যন্ত তাঁর সংগে মিলিত হলেন না। পরে যোষেফ ছেলেটির নাম যীশু রাখলেন।

২য় পাঠ: মথি ৪:২৩-২৫

23গালীল প্রদেশের সমস্ত জায়গায় ঘুরে ঘুরে যিহূদীদের ভিন্ন ভিন্ন সমাজ-ঘরে যীশু শিক্ষা দিতে লাগলেন। এছাড়া তিনি স্বর্গ-রাজ্যের সুখবর প্রচার করতে এবং লোকদের সব রকম রোগ ভাল করতে লাগলেন। 24সমস্ত সিরিয়া দেশে তাঁর কথা ছড়িয়ে পড়ল। যে সব লোকেরা নানা রকম রোগে ও ভীষণ যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছিল, যাদের মন্দ আত্মায় ধরেছিল এবং যারা মৃগী ও অবশ-রোগে ভুগছিল, লোকেরা তাদের যীশুর কাছে আনল। তিনি তাদের সবাইকে সুস্থ করলেন। 25গালীল, দিকাপলি, যিরূশালেম, যিহূদিয়া এবং যর্দনের অন্য পার থেকে অনেক লোক যীশুর পিছনে পিছনে চলল।

৩য় পাঠ: যোহন ৫:৫-৯

5আটত্রিশ বছর ধরে রোগে ভুগছে তেমন একজন লোকও সেখানে ছিল। 6অনেক দিন ধরে সে এইভাবে পড়ে আছে জেনে যীশু তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার কি ভাল হবার ইচ্ছা আছে?”
7রোগীটি উত্তর দিল, “আমার এমন কেউ নেই যে, জল কেঁপে উঠবার সংগে সংগে আমাকে পুকুরে নামিয়ে দেয়। আমি যেতে না যেতেই আর একজন আমার আগে নেমে পড়ে।”
8যীশু তাকে বললেন, “ওঠো, তোমার বিছানা তুলে নিয়ে হেঁটে বেড়াও।” 9তখনই সেই লোকটি ভাল হয়ে গেল ও তার বিছানা তুলে নিয়ে হাঁটতে লাগল।
সেই দিনটা ছিল বিশ্রামবার।

৪র্থ পাঠ: যোহন ৫:১৭-২৪

17তখন তিনি সেই নেতাদের বললেন, “আমার পিতা সব সময় কাজ করছেন এবং আমিও করছি।”
18যীশুর এই কথার জন্য যিহূদী নেতারা তাঁকে মেরে ফেলবার জন্য উঠে পড়ে লাগলেন, কারণ তিনি যে কেবল বিশ্রামবারের নিয়ম ভাংছিলেন তা নয়, ঈশ্বরকে নিজের পিতা বলে ডেকে নিজেকে ঈশ্বরের সমানও করছিলেন।
19এতে যীশু সেই নেতাদের বললেন, “আমি সত্যিই আপনাদের বলছি, পুত্র নিজ থেকে কিছুই করতে পারেন না। পিতাকে যা করতে দেখেন কেবল তা-ই করতে পারেন, কারণ পিতা যা করেন পুত্রও তা-ই করেন। 20পিতা পুত্রকে ভালবাসেন এবং তিনি নিজে যা কিছু করেন সমস্তই পুত্রকে দেখান। তিনি এগুলোর চেয়ে আরও মহৎ মহৎ কাজ পুত্রকে দেখাবেন, যেন পুত্রকে সেই সব কাজ করতে দেখে আপনারা আশ্চর্য হন। 21পিতা যেমন মৃতদের জীবন দিয়ে উঠান ঠিক তেমনি পুত্রও যাকে ইচ্ছা করেন তাকে জীবন দেন। 22পিতা কারও বিচার করেন না, কিন্তু সমস্ত বিচারের ভার পুত্রকে দিয়েছেন, 23যেন পিতাকে যেমন সবাই সম্মান করে তেমনি পুত্রকেও সম্মান করে। পুত্রকে যে সম্মান করে না, যিনি তাঁকে পাঠিয়েছেন সেই পিতাকেও সে সম্মান করে না।
24“আমি আপনাদের সত্যিই বলছি, আমার কথা যে শোনে এবং আমাকে যিনি পাঠিয়েছেন তাঁকে বিশ্বাস করে তার অনন্ত জীবন আছে। তাকে দোষী বলে স্থির করা হবে না; সে তো মৃত্যু থেকে জীবনে পার হয়ে গেছে।

৫ম পাঠ: যোহন ৮:৩-১১

3-4এমন সময় ধর্ম-শিক্ষক ও ফরীশীরা একজন স্ত্রীলোককে যীশুর কাছে নিয়ে আসলেন। স্ত্রীলোকটি ব্যভিচারে ধরা পড়েছিল। ধর্ম-শিক্ষক ও ফরীশীরা সেই স্ত্রীলোকটিকে মাঝখানে দাঁড় করিয়ে যীশুকে বললেন, “গুরু, এই স্ত্রীলোকটি ব্যভিচারে ধরা পড়েছে। 5আইন-কানুনে মোশি এই রকম স্ত্রীলোকদের পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলতে আমাদের আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু আপনি কি বলেন?”
6তাঁরা যীশুকে পরীক্ষা করবার জন্যই এই কথা বললেন, যাতে তাঁকে দোষ দেবার একটা কারণ তাঁরা খুঁজে পান। তখন যীশু নীচু হয়ে আংগুল দিয়ে মাটিতে লিখতে লাগলেন। 7কিন্তু তাঁরা যখন কথাটা বারবার তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন তখন তিনি উঠে তাঁদের বললেন, “আপনাদের মধ্যে যিনি কোন পাপ করেন নি তিনিই প্রথমে ওকে পাথর মারুন।” 8এর পরে তিনি নীচু হয়ে আবার মাটিতে লিখতে লাগলেন।
9এই কথা শুনে সেই নেতাদের মধ্যে বুড়ো লোক থেকে আরম্ভ করে একে একে সবাই চলে গেলেন। যীশু কেবল একা রইলেন আর সেই স্ত্রীলোকটি তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। 10যীশু উঠে সেই স্ত্রীলোকটিকে বললেন, “তাঁরা কোথায়? কেউ কি তোমাকে শাস্তির উপযুক্ত মনে করেন নি?”
11স্ত্রীলোকটি উত্তর দিল, “না হুজুর, কেউই করেন নি।”
তখন যীশু বললেন, “আমিও করি না। আচ্ছা যাও; পাপে জীবন আর কাটায়ো না।”

শেয়ার করুন

আপনাদের উৎসাহ আমাদের কাছে মূল্যবান

আপনার গল্পগুলি এই ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে সাহায্য করে।