"হৃদয়ে বড়দিন" - ১৪ দিনের ভিডিও পরিকল্পনার ১৩ম দিন
বাংলা বড়দিন ফিল্ম - ১৪ দিনের ১৩তম দিন
বাইবেলের পাঠ সমূহঃ
মথি ২৭:৫৭-৬৬
57সন্ধ্যা হলে পর অরিমাথিয়া গ্রামের যোষেফ নামে একজন ধনী লোক সেখানে আসলেন। ইনি যীশুর শিষ্য হয়েছিলেন। 58পীলাতের কাছে গিয়ে তিনি যীশুর দেহটা চাইলেন। তখন পীলাত তাঁকে সেই দেহটা দিতে আদেশ দিলেন। 59যোষেফ যীশুর দেহটা নিয়ে গিয়ে পরিষ্কার কাপড়ে জড়ালেন, 60আর যে নতুন কবর তিনি নিজের জন্য পাহাড়ের মধ্যে কেটে রেখেছিলেন সেখানে সেই দেহটা রাখলেন। পরে সেই কবরের মুখে বড় একটা পাথর গড়িয়ে দিয়ে তিনি চলে গেলেন। 61কিন্তু মগ্দলীনী মরিয়ম ও সেই অন্য মরিয়ম সেখানে সেই কবরের সামনে বসে রইলেন।
62পরের দিন, অর্থাৎ আয়োজন-দিনের পরের দিন প্রধান পুরোহিতেরা এবং ফরীশীরা পীলাতের কাছে জড়ো হয়ে বললেন, 63“হুজুর, আমাদের মনে পড়েছে, সেই ঠগটা বেঁচে থাকতে বলেছিল, ‘আমি তিন দিন পরে বেঁচে উঠব।’ 64সেইজন্য আদেশ করুন যেন তিন দিন পর্যন্ত কবরটা পাহারা দেওয়া হয়। না হলে তাঁর শিষ্যেরা হয়তো এসে তাঁর দেহটা চুরি করে নিয়ে গিয়ে লোকদের বলবে, ‘তিনি মৃত্যু থেকে বেঁচে উঠেছেন।’ তাহলে প্রথম ছলনার চেয়ে শেষ ছলনাটা আরও খারাপ হবে।”
65তখন পীলাত তাঁদের বললেন, “পাহারাদারদের নিয়ে গিয়ে আপনারা যেভাবে পারেন সেইভাবে পাহারা দেবার ব্যবস্থা করুন।” 66তখন তাঁরা গিয়ে পাথরের উপরে সীলমোহর করলেন এবং পাহারাদারদের সেখানে রেখে কবরটা কড়াকড়িভাবে পাহারা দেবার ব্যবস্থা করলেন।
মথি ২৮:১-৮
1বিশ্রামবারের পরে সপ্তার প্রথম দিনের ভোর বেলায় মগ্দলীনী মরিয়ম ও সেই অন্য মরিয়ম কবরটা দেখতে গেলেন। 2তখন হঠাৎ ভীষণ ভূমিকম্প হল, কারণ প্রভুর একজন দূত স্বর্গ থেকে নেমে আসলেন এবং কবরের মুখ থেকে পাথরখানা সরিয়ে দিয়ে তার উপর বসলেন। 3তাঁর চেহারা বিদ্যুতের মত ছিল আর তাঁর কাপড়-চোপড় ছিল ধব্ধবে সাদা। 4তাঁর ভয়ে পাহারাদারেরা কাঁপতে লাগল এবং মরার মত হয়ে পড়ল।
5স্বর্গদূত স্ত্রীলোকদের বললেন, “তোমরা ভয় কোরো না, কারণ আমি জানি, যাঁকে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল তোমরা সেই যীশুকে খুঁজছ। 6তিনি এখানে নেই। তিনি যেমন বলেছিলেন তেমন ভাবেই জীবিত হয়ে উঠেছেন। এস, তিনি যেখানে শুয়ে ছিলেন সেই জায়গাটা দেখ। 7তোমরা তাড়াতাড়ি গিয়ে তাঁর শিষ্যদের বল তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন এবং তাদের আগে গালীলে যাচ্ছেন। তারা তাঁকে সেখানেই দেখতে পাবে। দেখ, কথাটা আমি তোমাদের জানিয়ে দিলাম।”
8সেই স্ত্রীলোকেরা অবশ্য ভয় পেয়েছিলেন, কিন্তু তবুও খুব আনন্দের সংগে তাড়াতাড়ি কবরের কাছ থেকে চলে গেলেন এবং যীশুর শিষ্যদের এই খবর দেবার জন্য দৌড়াতে লাগলেন।